তোমার জন্য লেখা!

শাড়ির আচঁল ছাড়েন, ভালো হবে না কিন্তু শেষ বারের মতো বলছি, নয়তো আপুর কাছে বলে দিবো। এইসব আমার একদম ভালো লাগে না । ছোট চাচার বাসার সামনে এসে এইসব কথা শুনে থমকে গেলাম" আজকে তো চাচা, চাচি, তাসফিয়া আপু, সাদিয়া, আমাদের বাসায় বেড়াতে গেলো। কিন্তু বাসার ভেতরে সাদিয়ার কন্ঠ শুনা যায় । উকিঁ দিতে ইচ্ছে হলো" জানালা দিয়ে যা দেখলাম মাথা নষ্ট হয়ে গেলো।
তাসফিয়া আপুর স্বামী" নাঈম ভাই "সাদিয়ার হাত ধরে টানা টানি করতেছে ।
অনিচ্ছা স্বত্বেও নিজের রাগ টা কমিয়ে বাসার কলিংবেলে চাপ দিলাম। নাঈম ভাই এসে দরজা খুলে দিলো। সাদিয়া কোথায় ভাইয়া? "কি জানি শুনেছিলাম তুমাদের বাসায় যাবে, তারপর থেকে দেখতেছি না"। ওহ ভাইয়া আপনি গেলেন নাহ? " না শালাভাই আমার শরির টা একদম ভালো লাগতেছে না তাই যাই নি"।
"কথা না বাড়িয়ে সাদিয়ের রুমের দিকে এগুলাম"সাদিয়া রুমে আছিস? কোনো সাড়া শব্দ নাই তবুও ঘরের ভেতরে ঢুকলাম, আমাকে দেখেই জালার পাশ থেকে দৌরে ওয়াশ রুমে চলে গেলো । আর যেতে যেতে বলতে লাগলো "এই আদু দাঁড়া আমি একটু হাত মুখ টা ধুয়ে আসি"। বলে ওয়াশ রুমে চলে গেলো। আধ ঘন্টা পর ফিরে আসলো । কি রে এতক্ষন লাগে হাত, মুখ, ধুতে? "আমি কি তোদের মতো নাকি মেয়েদের একটু বেশিই সময় লাগে।
আর শুন আজকে আমরা নদীতে ঘুরতে যাবো মনে আছে! আমার কথা শুনে সাদিয়া থমকে গেলো, তারপর কি জানি মনে করে, "সত্যিই তো আমার মনে ছিলো না, আদনান আজকে আমরা কাশফুলের বনে যাবো, তোর ফোন টা নিয়ে আসছিস তো? "
হ্যা নিয়ে আসছি । "দে তারিন কে একটা ফোন দেই, আমরা সবাই গেলে অনেক মজা হবে। অনেক গুলা পিক তুলবো।"
আমার ফোন টা নিয়ে আমাদের বেশ কয়েক টা বান্ধবি কে ফোন করলো। তারপর আমরা বের হতে যাবো এই সময়, নাঈম ভাই দাড়িঁয়ে আছেন, এর মানে এতক্ষন আমাদের কথা দাড়িঁয়ে শুনেছে। আমাদের বেরুতে দেখেই "সাদিয়া আমার জন্য একটু চা করে দিয়ে যাও তো।" সাদিয়া বিরক্তি স্বরে বলে দিলো "ফ্লাক্সে চা বানানো আছে খেয়ে নিবেন।"
বলেই আমাকে হেচঁকা টান দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো। সাদিয়া আমার পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো কথা নেই।
কি রে কথা বলিস না কেনো? আর তোর চোখ গুলা ওই সময় ফুলা ফুলা লাগছিলো কেনো? তুই কি কেদেঁছিলি?
একদম চুপ করে হাটতে লাগলো । কি রে বক বক রাণী চুপসে গেলি কেনো? আমি যা দেখেছি তা বুঝতেও দিচ্ছি না । নাহ আমাকে জানতেই হবে ওর সাথে কি হয়েছিলো। রাস্তায় আসতেই তারিন, অরিন, টুম্পা, আমাদের দেখে এগিয়ে আসলো।
"কি রে এতক্ষন লাগে তোদের জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি।" ওদের নিয়ে নদীর চরে হাটতে লাগলাম।
তারিন কে নিয়ে আমি একটু পিছনে হাটতে লাগলাম। এই তারিন শুন! তারপর তারিন কে সব খুলে বললাম।
"আদু কি বলিস এইগুলা, আর তোই কিছু বলিস নি কেনো?সাদিয়ার সাথে নাঈম ভাই এমন টা করতে পারলো , মানুষ টাকে কত্ত সম্মান করতাম । আমার বড় বোন নেই উনাকে আমি নিজের দুলাভাই এর মতো দেখতাম আর উনি কিনা এত্ত টা নিচুঁ চরিত্রের ভাবতেই ঘৃনা হচ্ছে ছি।" এই আদুর বাচ্ছা কদু তোই কিছু বললি না ক্যান? আমি থাকলে লুচুর বাচ্ছা কে এমন মার দিতাম জীবনেও এমন করতো না।""
দোস্ত শুন আমি যদি ওদের বুঝতে দেই তোই বুঝতেই পারছিস কি হতো, সাদিয়া কি টাইপের মেয়ে তো সবাই জানিস ই, আমার তো ওরে ভয় হয় তাই কিছুই বুঝতে দেই নি, যদি কিছু করে বসে। তারিন আমার চুল ধরে বলল, ""শালা আদুর বাচ্ছা কদু তোই তো পারতি ওই লুচু টারে সাইজ করতে । "
"কি রে তোরা পিছনে ঝগড়া করতেছিস কেনো?(সাদিয়া)"
"এই আদুর বাচ্ছা কে সাইজ করতে হবে, শালা একটা বদমাইশ, (তারিন) "কি করেছে? (টুম্পা) " কিছু না রে (তারিন)
হাটতে হাটতে কাশবনের কাছে চলে আসলাম শরৎকাল কাশবন টা সাদা ফুলে ছুঁয়ে আছে। সবাই জুতা খুলে খালি পায়ে বালির মধ্যে হাটতে লাগলাম।